সাভারের জয়নাবাড়ি খাল পুনরুদ্ধার- ফখরুল আলম সমরের প্রশংসনীয় উদ্যোগ!

মোঃ আব্দুস সালাম রুবেল, সাভারঃ
যে হারে দেশের খাল-বিল আর নদী-নালা প্রভাবশালী মহল দখল করে নিচ্ছে, তাতে অচিরেই দেশ মরুভূমিতে পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গণমাধ্যমে এ ব্যাপারে প্রতিবেদনের পর প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েই যাচ্ছে; কিন্তু বিষয়টির কোনো সুরাহা হচ্ছে না। সর্বশেষ জ্বলন্ত প্রমাণ একদার প্রমত্তা তুরাগ নদের বর্তমান সংকীর্ণ নালায় পরিণত হওয়া।  যা আমাদেরকে ভাবায়, কষ্ট দেয় কিন্তু কিছুই করতে না পারার অক্ষম ক্রোধে তাড়িত করানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারছে না।
ঠিক এমন অবস্থায় একজন ফখরুল আলম সমরের ২০/২৫ বছর ধরে দখলকৃত একটি খাল উদ্ধারে এগিয়ে আসার খবর আমাদেরকে তমসাঘন অন্ধকারের ভিতরে আশার প্রদীপ দেখায় বৈকি!
ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরের জয়নাবাড়ি এলাকায় ৫ নং ওয়ার্ডে অনেক আগে (প্রায় ২০/২৫ বছর) জয়নাবাড়ি খাল নামে একটি প্রবাহমান খালের অস্তিত্ব ছিলো। কিন্তু ক্রমাগত দখলের ধারাবাহিকতায় খালটির প্রবাহ রুদ্ধ হয়ে একটি নালায় পরিণত হয়। সরেজমিন দেখা গেছে, একসময়ের খালটির উপরে ফাউন্ডেশন দিয়ে দ্বিতল ভবনও করে ফেলেছেন কেউ কেউ।
তেতুলঝোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মানবতার ফেরিওয়ালা জনবন্ধু  জনাব ফখরুল আলম সমর এই খালটি পুনরুদ্ধারে এগিয়ে আসেন সকল প্রতিকূলতা এবং বাধা-বিঘ্নকে অতিক্রম করে। গত ১১ জুলাই পুরনো খালের সরকারি নক্সানুযায়ী মাপজোক সম্পন্ন শুরু হয়ে ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলে। ১৬ জুলাই (সোমবার) আনুষ্ঠানিকভাবে খালের উপরের অবৈধ দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয় ফখরুল আলম সমরের উপস্থিতিতে।
সরেজমিন উচ্ছেদ কার্যক্রম দেখতে গিয়ে কথা হয় একজন স্থানীয় অধিবাসী জয়নাবাড়ি গ্রামের হাজী আবু বকর সিদ্দিকের সাথে। এই খালটির যৌবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, সেই ২৫ বছর আগে খালটি এই এলাকার ভিতর দিয়ে বয়ে যেত। এরপর সবাই একটু একটু করে দখল করা শুরু করলো। এতগুলো বছরে কত চেয়ারম্যান আসলো, কই কেউতো ফখরুল আলম সমরের মতো নিজের উদ্যোগে এই খাল দখলমুক্ত করতে আসে নাই? আল্লাহপাক আমাদের সাহায্য করার জন্য সমরের মতো চেয়ারম্যান পাঠাইছে। আমরা জয়নাবাড়ি গ্রামের সবাই এই কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছি। প্রতিটি ইউনিয়নে যদি ফখরুল আলম সমরের মতো চেয়ারম্যান থাকতো, তবে এভাবে অবৈধ দখলদারির ঘটনা ঘটতো না।
প্রসংত উল্লেখ্য, জয়নাবাড়ি খালটি গড়ে প্রস্থে প্রায় ৩০ ফুটের মতো সরকারি হিসেবে রয়েছে। আর জয়নাবাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটারের মতো খালের উপরে গড়ে ওঠা অবৈধ ভবন-দোকান ও অন্যান্য স্থাপনার উচ্ছেদ কার্যক্রম চলছে। ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার নিজাম চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমরের সাথে এই অবৈধ দখলদারিত্বের উচ্ছেদ কার্যক্রমে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment